চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে চুয়েট) বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সরকারী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। এটি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত। প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী এখানে প্রকৌশল, স্থাপত্য, নগর পরিকল্পনা ও বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করেন।
![CUET - Entrance | Shikkha Web Blog Entrance](https://blog.shikkhaweb.com/wp-content/uploads/sites/5/2019/02/CUET-Entrance-300x204.jpg)
বিষয়সূচি
পরিচিতি
অবস্থান:
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত। এটি ‘রাউজান’ উপজেলার ‘পাহাড়তলি’ ইউনিয়নে চট্টগ্রাম-কাপ্তাইমহাসড়কের পাশে অবস্থিত।
ইতিহাস:
চট্টগ্রামে একটি প্রকৌশল শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৬৮ সালে “চট্টগ্রাম প্রকৌশল কলেজ” নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধীনে এটি যাত্রা শুরু করে। ভর্তি শুরু হয় ১৯৬৮-৬৯ শিক্ষাবর্ষ হতে। ১লা জুলাই ১৯৮৬ সালে এটি বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (বিআইটি), চট্টগ্রাম রুপে উন্নীত করা হয়। পরবর্তীতে ১লা সেপ্টেম্বর, ২০০৩ সালে একটি সরকারী অধ্যাদেশের মাধ্যমে এটিকে পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেয়া হয়।
স্বাধীনতা যুদ্ধে চুয়েট: ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চুয়েটের তারেক হুদা এবং মোঃ শাহ নামের ২ জন ছাত্র শহীদ হন। তাঁদের নামে বর্তমানে ছাত্রদের দুটি আবাসিক হলের নামকরণ করা হয়েছে: শহীদ মোহাম্মদ শাহ হল এবং শহীদ তারেক হুদা হল।
ক্যাম্পাস:
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মণ্ডিত চুয়েট ক্যাম্পাস ১৭১ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অনুষদের জন্য আলাদা ভবন, প্রশাসনিক ভবন, অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরি ভবন, ওয়ার্কশপ, গবেষণাগার, ছাত্র/ছাত্রী নিবাস, শিক্ষকদের কোয়ার্টার, ক্যান্টিন, শহীদ মিনার, সোনালি ব্যাংকের শাখা, পোস্ট অফিস, মসজিদ, কনফেকশনারি, মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। ক্যাম্পাস এলাকার ভেতরেই রয়েছে একটি প্রাকৃতিক হ্রদ, কয়েকটি পাহাড় ও নানান ধরনের গাছগাছালি। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে একটি সুবিশাল মাঠ রয়েছে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে “চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ” অবস্থিত।
ক্যাম্পাস লাইফ
১. অপরূপা ক্যাম্পাস:
ক্যাম্পাসের যেদিকেই চোখ যাবে শুধুই সবুজ আর সবুজ। মাঝ বরাবর চলে গেছে কংক্রিটের রাস্তা। চুয়েট মাঠের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে দারুণ এক লেক, প্রশাসনিক ভবনের সামনেই রয়েছে “পদ্ম পুকুর”। ক্যাম্পাসের কেন্দ্রেই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে তৈরী স্মৃতি ভাস্কর্য “স্বাধীনতা চত্বর”। এছাড়াও রয়েছে অপরূপ সব ডিপার্টমেন্টাল বিল্ডিং। এসব দেখে যে কেউ চুয়েটের মায়ায় আটকে পড়তে বাধ্য।
![CUET - Campus 3 | Shikkha Web Blog Campus](https://blog.shikkhaweb.com/wp-content/uploads/sites/5/2019/02/CUET-Campus-3-200x300.jpg)
২. সেশনজট মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় জীবন:
এককথায় বলতে গেলে, চুয়েটের মতো সেশনজট মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এদেশে কমই আছে। যদি তুমি ঠিকমতো পড়াশুনা করো তবে চার বছরের কম সময়েই পাশ করে বের হয়ে আসতে পারবে।
“ইঞ্জিনিয়ারিং মানেই প্যারা, কোন আনন্দ নাই” কথাটি ভুল প্রমাণ করতে চুয়েটের বিভিন্ন প্রোগ্রামগুলোই যথেষ্ট।
৩. হল লাইফ:
চুয়েট শিক্ষার্থীদের মূল আনন্দ-উচ্ছ্বাস হলো হলকেন্দ্রিক। ক্যাম্পাসের বেশিরভাগ প্রোগ্রামে হলভিত্তিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হলগুলোতে সারা বছরই বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও প্রতি মাসে মাসিক হল ফেস্ট এবং বছরে একবার বার্ষিক হল ফেস্টের মত বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৪. ফেস্টিভ চুয়েট:
“ইঞ্জিনিয়ারিং মানেই প্যারা, কোন আনন্দ নাই” কথাটি ভুল প্রমাণ করতে চুয়েটের বিভিন্ন প্রোগ্রামগুলোই যথেষ্ট। বিভিন্ন দিবস উদযাপন যেমন: স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, পহেলা বৈশাখ ছাড়াও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, প্রতিটি ডিপার্টমেন্টাল প্রোগ্রাম রীতিমতো তোমাকে মুগ্ধ করবে।
![CUET - Pahela Boishakh | Shikkha Web Blog Pahela Boishakh Celebration](https://blog.shikkhaweb.com/wp-content/uploads/sites/5/2019/02/CUET-Pahela-Boishakh-300x246.jpg)
৫. অটোমেটেড লাইব্রেরি:
চুয়েট সেন্ট্রাল লাইব্রেরি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীগুলোর মধ্যে প্রথম Automated Library। সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিতে পড়াশুনা করতে পারে। তুমি তোমার প্রয়োজনীয় প্রায় সকল বইগুলোই পাবে লাইব্রেরিতে।
৬. পড়ালেখার বাইরে অন্যকিছু:
পড়ালেখা ছাড়াও অনেক ধরণের কাজের সাথে তুমি চাইলেই যুক্ত থাকতে পারবে এ ক্যাম্পাসে। এখানে চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি, চুয়েট থিয়েটার, চুয়েট ফিল্ম সোসাইটি, চুয়েট ফটোগ্রাফি সোসাইটি, চুয়েট রেডিও, প্রতিধ্বনি, Dream, Try নামক বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে। এগুলোতে যুক্ত থাকার মাধ্যমে তুমি চাইলেই তোমার দক্ষতা বাড়িয়ে নিতে পারো।
৭. অদম্য চুয়েট:
চুয়েট এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে। চুয়েটের ল্যাবগুলো সকল প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে স্বয়ংসম্পন্ন। যার ফলে তুমি সবকিছু শিখতে পারবে হাতে-কলমে। এছাড়াও চুয়েটে একের পর এক বিভিন্ন সেমিনার, ফেস্ট অনুষ্ঠিত হয় যা থেকে তুমি উপকৃত হবে।
৮. অনুপ্রেরণার চুয়েট:
চুয়েট ক্যাম্পাসে তুমি তোমার আশেপাশে অনেক অনুপ্রেরণাদায়ী মানুষের দেখা পাবে। এখানকার সিনিয়ররা ও শিক্ষকরা অনেক হেল্পফুল, যাদের কাছ থেকে তুমি সব ধরণের হেল্প পাবে। চুয়েট থেকে পাশকৃত শিক্ষার্থীরাবর্তমানে দেশ ও বিদেশে বেশ বড় বড় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন, যা তোমাদের অনুপ্রেরণার ভান্ডার হিসেবে কাজ করবে।
অনুষদ এবং বিভাগ সমূহ
চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এ বর্তমানে ৫ টি অনুষদের অধীনে ১৩ টি বিভাগ রয়েছে।
অনুষদ:
১. যন্ত্রকৌশল অনুষদ
২. পুরকৌশল অনুষদ
৩. তড়িৎ ও কম্পিউটার অনুষদ
৪. প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ
৫. স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদ
ডিপার্টমেন্ট:
১. যন্ত্রকৌশল (১৮০)
২. কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (১৩০)
৩. তরিৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল (১৮০)
৪. পুরকৌশল (১৩০)
৫. স্থাপত্য (৩০)
৬. পেট্রোলিয়াম ও মাইনিং কৌশল (৩০)
৭. মেকাট্রনিক্স ও শিল্প কৌশল (৬০)
৮. ইলেকট্রনিক ও টেলিযোগাযোগ কৌশল (৬০)
৯. পানি সম্পদ কৌশল (৩০)
১০. নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা (৩০)
১১. দুর্যোগ ও পরিবেশ প্রকৌশল
১২. পদার্থবিজ্ঞান
১৩. গণিত
১৪. রসায়ন
১৫. মানবিক
![CUET - Campus | Shikkha Web Blog Campus](https://blog.shikkhaweb.com/wp-content/uploads/sites/5/2019/02/CUET-Campus-300x196.jpg)
ইনস্টিটিউট ও সেন্টারসমূহ
বর্তমানে ২টি ইনস্টিটিউট এবং ৩টি সেন্টার রয়েছে। এগুলো হল:
১. ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন এণ্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (IICT)
২. ইন্সটিটিউট অফ এনার্জি টেকনোলজি (IET)
৩. ব্যুরো অফ রিসার্চ, টেস্টিং এন্ড কন্সাল্টেন্সি (BRTC)
৪. আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং এণ্ড রিসার্চ সেন্টার (EERC)
৫. ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার (LC)
হল সুবিধা
ক্যাম্পাসে ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ টি হল এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ১ টি হল (আরেকটি হল নির্মাণাধীন) রয়েছে।
হলগুলো হল:
১. শহীদ মোঃ শাহ হল (সাউথ হল)
২. ডঃ কুদরত-ই-খুদা হল
৩. শহীদ তারেক হূদা হল (নর্থ হল)
৪. বঙ্গবন্ধু হল
৫. শেখ রাসেল হল
৬. সুফিয়া কামাল হল (মহিলা হল)
![CUET - Sheikh Rasel Hall | Shikkha Web Blog Sheikh Rasel Hall](https://blog.shikkhaweb.com/wp-content/uploads/sites/5/2019/02/CUET-Sheikh-Rasel-Hall-300x169.jpg)
ল্যাব ফ্যাসিলিটি
১. তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগ
সার্কিট এন্ড মেসারমেন্ট ল্যাবরেটরি
ইলেক্ট্রনিক্স ল্যাবরেটরি
মেশিন এন্ড রিনিউএবল এনার্জী ল্যাবরেটরি
মাইক্রোওয়েভ এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরি
ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড মাইক্রোপ্রসেসর ল্যাবরেটরি
সিমুলেশন ল্যাবরেটরি
ভিএলএসআই (VLSI) এন্ড ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসিং ল্যাবরেটরি
পাওয়ার ইলেক্ট্রনিক্স ল্যাবরেটরি
পাওয়ার সিস্টেম এন্ড প্রটেকশান ল্যাবরেটরি
হাই ভোল্টেজ ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরি
২.যন্ত্রকৌশল বিভাগ
ফ্লুইড মেকানিক্স ল্যাবরেটরি
থার্মাল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরি
অন্তর্দহ ইঞ্জিন ল্যাবরেটরি
এপ্লাইড মেকানিক্স ল্যাবরেটরি
মেকাট্রনিক্স ল্যাবরেটরি
মেসারমেন্ট প্র্যক্টিস ল্যাবরেটরি
ওয়ার্কশপ (বাংলাদেশের সবেচেয়ে বড় ওয়ার্কশপ)
যন্ত্রকৌশল অঙ্কন রুম
কম্পিউটার ল্যাবরেটরি
৩. পুরকৌশল বিভাগ
স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরি
জিও-টেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরি
এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরি
ট্রান্সপোর্টেশান ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরি
হাইড্রলিক ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরি
ওয়ার্কশপ
পুরোকৌশল অঙ্কন রুম
৪. কম্পিউটার কৌশল বিভাগ
কম্পিউটার ল্যাবরেটরি – ১
কম্পিউটার ল্যাবরেটরি – ২
কম্পিউটার হার্ডওয়ার ল্যাবরেটরি
ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক ল্যাবরেটরি
প্রোগ্রামেবল লজিক কন্ট্রোলার (PLC) ল্যাবরেটরি
রোবোটিক্স ল্যাবরেটরি
মাইক্রোপ্রসেসর এন্ড ইন্টারফেইসিং ল্যাবরেটরি
অপারেটিং সিস্টেম ল্যাবরেটরি
৫. পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন বিভাগ
পদার্থবিজ্ঞানের সাধারণ পরীক্ষাসমূহের জন্য একটি ও আলোকবিজ্ঞান সংক্রান্ত পরীক্ষাসমূহের জন্য একটি মোট দুটি পরীক্ষাগার রয়েছে
রসায়নবিজ্ঞানের জন্য একটি পরীক্ষাগার রয়েছে।
অন্যান্য সুবিধা:
মেডিকেল সেন্টার:
প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের উদ্দেশ্যে চুয়েটে একটি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। এটি ২০ শয্যাবিশিষ্ট। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক এখানে চিকিৎসা কার্যে নিয়োজিত আছেন। গুরুতর রোগীদের মেডিকেল সেন্টারের নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে বড় হাস্পাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানের এ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা প্রায় ৫ টি।
মসজিদ:
ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও শিক্ষকদের জন্য চুয়েটে ৫৬০ বর্গমিটার আয়তনের একটি মসজিদ রয়েছে। তাছাড়াও প্রতিটি হলের সামনেও মসজিদ রয়েছে।
![CUET - Central Mosque | Shikkha Web Blog Central Mosque](https://blog.shikkhaweb.com/wp-content/uploads/sites/5/2019/02/CUET-Central-Mosque-300x169.jpg)
ক্যান্টিন:
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ৩টি ক্যান্টিন রয়েছে। এর মাঝে দুটি ক্যান্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইট থেকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রবেশপথে গোলচত্তরের বাম পাশে অবস্থিত এবং অপর একটি পুরকৌশল ভবনের পেছনে অবস্থিত। এছাড়াও একটি ক্যাফেটেরিয়া ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে।
মিলনায়তন:
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৫০০ আসনের একটি কেন্দ্রীয় মিলনায়তন কমপ্লেক্স রয়েছে। এতে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান। বছরের বিভিন্ন সময়ে মিলনায়তনে বিভিন্ন সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা, চলচিত্র উৎসব ইত্যাদির আয়োজন করা হয়ে থাকে।
লাইব্রেরী:
লাইব্রেরিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে একসাথে প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থীর একসাথে অধ্যয়ন করার ব্যবস্থা আছে। চুয়েট লাইব্রেরিতে রেফারেন্স ও জার্নালের একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। প্রতিদিন ৫টি ভিন্ন দৈনিক পত্রিকা রাখা হয়। এছাড়া বেশ কিছু ম্যাগাজিনের নিয়মিত সকল সংস্করণ রাখা হয়।এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য ফটোস্ট্যাট করার ব্যবস্থা আছে। শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য এখানে ইন্টারনেট সংযোগ সহ পর্যাপ্ত সংখ্যক কম্পিউটার রয়েছে।
![CUET - Central Library | Shikkha Web Blog Central Library](https://blog.shikkhaweb.com/wp-content/uploads/sites/5/2019/02/CUET-Central-Library-300x169.jpg)
পরিবহণ ব্যবস্থা:
চুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ১০টি বাস সাপ্তাহিক কার্যদিবসগুলোতে ক্যাম্পাস ও শহরের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে।
অন্যান্য সংগঠন সমূহ
চুয়েট কম্পিউটার ক্লাব
রোবো-মেকাট্রনিক্স এসোসিয়েশন
গ্রীন ফর পীস
জয়ধ্বনি
চুয়েট ফটোগ্রাফিক সোসাইটি
চুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাব
চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি
চুয়েট হায়ার স্টাডি সোসাইটি
চুয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন
চুয়েট স্পোর্টস ক্লাব
![CUET - Campus 2 | Shikkha Web Blog Campus](https://blog.shikkhaweb.com/wp-content/uploads/sites/5/2019/02/CUET-Campus-2-300x196.jpg)
ভর্তি
চুয়েটে স্নাতক শ্রেণীতে লেভেল -১ টার্ম-১ এ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় । ভর্তির শিক্ষার্থী বাছাই একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে করা হয়। সাধারণত অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে ভর্তি ফর্ম প্রকাশ হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজীতে একটি ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট থাকলে একজন ভর্তিচ্ছুক ফর্ম সংগ্রহ করতে পারে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের জন্য উল্লেখিত ৪টি বিষয়ে সর্বোচ্চ গ্রেডপয়েন্ট অনুসারে প্রথম ১০০০০ জনের একটি তালিকা (শর্টলিস্ট) প্রকাশ করা হয়। এই ১০০০০ জন পরীক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয় এবং তাদের মধ্য থেকে মেধাতালিকার প্রথম ৮৩০ জন কে ভর্তি করানো হয়। “ক” ও “খ” এই দুটি বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। শুধু প্রকৌশল বিভাগসমূহ ও নগর পরিকল্পনা বিভাগের জন্য “ক” বিভাগে এবং প্রকৌশল বিভাগসমূহ, নগর পরিকল্পনা ও স্থাপত্য বিভাগের জন্য “খ” বিভাগে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। “ক” বিভাগের পরীক্ষা লিখিত পদ্ধতিতে নেয়া হয়ে থাকে। ৬০০ নম্বরের পরীক্ষাটি ৩ ঘন্টায় হয়ে থাকে।এছাড়া “খ” বিভাগের ভর্তিচ্ছুদের ২ ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠেয় মুক্তহস্ত অঙ্কন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়।
স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি তে ভর্তির জন্য স্নাতক শ্রেনীর প্রাপ্ত সিজিপিএ বিবেচনা করা হয় এবং ভর্তিচ্ছুদের ইন্টারভিউ গ্রহণ করা হয়।
![CUET - Academic Road | Shikkha Web Blog Academic Road](https://blog.shikkhaweb.com/wp-content/uploads/sites/5/2019/02/CUET-Academic-Road-300x169.jpg)
উপসংহার
ভার্সিটি লাইফকে স্মরণীয় করে রাখতে, পড়ালেখার পাশাপাশি জীবনটাকে উপভোগ করতে চাইলে ভর্তি হতে পারো অপরূপ সুন্দর, সেশনজট মুক্ত, গ্রিন ক্যাম্পাসখ্যাত চুয়েট ক্যাম্পাসে।
চুয়েট ক্যাম্পাস শুধু তোমাকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিই দিবে না, সেই সাথে উপহার দিবে সুন্দর, স্মরণীয় চারটি বছর। সবার জন্য শুভকামনা রইলো।
The campus is really very beautiful. Also the students are very helpful . I am proud of this university . This university is best for enjoy among all of engineering university in Bangladesh. Because of situated in industrial area of Bangladesh , students gets many facilities to get job. I think it is one of the best best university of this country. Thankyou.